মোটরসাইকেল কেনার আগে কি কি করবেন

Ticker

100/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মোটরসাইকেল কেনার আগে কি কি করবেন


মোটরসাইকেল কেনার আগে কি কি করবেন



দেশে মোটরসাইকেলের কেতা বাড়ছে। কেউ প্রথমবার মোটরসাইকেল কিনবেন আবার কেউ পুরনো  টা বাদ দিয়ে নতুন কোন মডেল কিনতে চাচ্ছেন। মোটরসাইকেল কেনার আগে আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। তো চলুন বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক -


বাজেট নির্ধারণঃ  বাইক কেনার আগে আপনার প্রথম কাজ হবে আপনার বাজেট নির্ধারণ করা। এরপর আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা মোটরসাইকেলটি আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। 

আপনার বাজেটের মধ্যে অনেক মোটরসাইকেল পড়বে।তবে কোন বৈশিষ্ট্য, কোন রং,দেখতে কেমন, পারদর্শিতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো মোটরসাইকেল বাদ পড়ে যাবে। এভাবে আপনার তালিকাকে ছোট করে আনুন।


পরীক্ষামূলক চালানোঃ  আপনার তালিকাকে ছোট করার পর সেই মোটরসাইকেল গুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখুন। যদি আপনার পরিচিত কারও নাও থাকে তাহলে শো রুমে চলে যান।এখন প্রায় সব মোটরসাইকেল কোম্পানি পরীক্ষামূলক বা টেস্ট রাইডের  সুযোগ দিচ্ছে, এ সুযোগটা আপনার গ্রহণ করা উচিত। যেটা আপনার সঙ্গে মানানসই সেটা বাস্তবিকভাবে অনুভব করে দেখুন। 


পরিচিতজনের পরামর্শঃ  যে মোটরসাইকেলটি আপনি কিনতে চাইছেন সেটি সম্পর্কে আপনার পরিচিতজনদের থেকে পরামর্শ নিন। আপনার বন্ধ,  আপনার প্রতিবেশী বা আপনার স্বজনদের থেকে মোটরসাইকেল  সম্পর্কে তাদের মতামত নিন।



মাইলেজে নজরঃ  আপনি যদি মোটরসাইকেল নিয়মিত ব্যবহার করতে চান, যদি ব্যয় সীমিত রাখতে চান তাহলে মোটরসাইকেলের মাইলেজের দিকে অবশ্যই নজর দিন। কারণ, প্রতিদিনের লম্ব দূরত্বের রাস্তার জন্য মাইলেজ অনেক বড় একটা ব্যাপার। মোটরসাইকেলের মাইলেজ এর সাথে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের দিকেও নজর দিন।


রিসেল ভ্যালুঃ  আপনি যদি ঘনঘন মোটরসাইকেল পরিবর্তন করেন তাহলে রিসেল ভ্যালু বা  পুনঃবিক্রয়মূল্য আপনার জন্য অনেক বড় একটা ব্যাপার।তাই সে ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল কেনার আগে রিসেল ভ্যালুর দিকে নজর দিন অবশ্যই।তাই যে মোটরসাইকেলটি আপনি কয়েক বছর চালালেও সেটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন সেই মোটরসাইকেলটি কিনুন। 


অনুমোদিত পরিবেশকঃ  যেকোনো মোটরসাইকেল কেনার আগে অবশ্যই কম্পানির অনুমোদিত পরিবেশকের কাছ থেকেই কিনুন। এতে আপনি বিক্রয় পরবর্তী সেবা নিশ্চিত পাবেন। এমন অনেক দোকান আছে যারা আপনার কাছে কিছুটা কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রি করলেও তারা বিক্রয় পরবর্তী কোনো সেবা দিবে না। অর্থাৎ মোটরসাইকেলের কোন সমস্যা হলে তারা তার দায়িত্ব নেবে না। 


এছাড়াও খুচরা যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা, আপনার নিজের পছন্দ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে আপনাকে মোটরসাইকেল কিনতে হবে। নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করাতে ভুলবেন না। নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা জরুরি। ভালো মানের একটি হেলমেট ব্যবহার করবেন। 

Post a Comment

0 Comments