গত দশকের সেরা দশটি অ্যাপ l Top 10 Apps of Last Decade

Ticker

100/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

গত দশকের সেরা দশটি অ্যাপ l Top 10 Apps of Last Decade

 

গত দশকের সেরা দশটি অ্যাপ l  Top 10 Apps of Last Decade

 গত এক দশকের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। গুগল প্লে স্টোর এবং আইফোনের অ্যাপ স্টোর চালু হয় একই সালে অর্থাৎ  2008 সালে। এই দুটি প্লাটফর্মে রয়েছে লক্ষ লক্ষ অ্যাপ এর সমাহার। এখন প্রত্যেকটি কাজের জন্য রয়েছে বিশেষ অ্যাপ। যেমন কোন অ্যাপ দিয়ে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করছি আবার কোন অ্যাপ দিয়ে গান শুনছি আবার কোন অ্যাপ দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার মতো কাজও করছি। মোটকথা বিভিন্ন এপ্লিকেশন আমাদের জীবনকে আরও অনেক সহজ করে দিয়েছে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক গত দশকের সেরা দশটি অ্যাপ সম্পর্কে-


ইন্সট্রাগ্রামঃ  1.6 বিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে ইনস্টাগ্রাম রয়েছে তালিকার শীর্ষে। ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার এই সাইট প্রকাশিত হয় 2010 সালে। ছবি তোলা বা শেয়ার করার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন ইনস্টাগ্রাম। ছবি তোলা এবং তা ইনস্টাগ্রামের শেয়ার করা এখন আমাদের প্রতিদিনের কাজে পরিণত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য  প্রসারে অ্যাপটি হয়ে উঠেছে এক দারুণ মাধ্যম।


টুইটারঃ  330 মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে টুইটার  রয়েছে এ তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে।খুদে ব্লগভিত্তিক এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি প্রকাশিত  হয় 2010 সালে। প্রথম প্রকাশের তেরো বছর পর টুইটার নিয়ে একটি বিষয়ে কোন দ্বিমত  নেই যে টুইটার পৃথিবীর যোগাযোগের ধারনাটাই বদলে দিয়েছে।সবার বার্তাই দুনিয়ার আনাচে-কানাচে পৌঁছে যাচ্ছে কেবল এক টুইটে। 


ফেসবুকঃ  2.7 মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে ফেসবুক রয়েছে এ তালিকার তৃতীয় নম্বরে।ফেসবুক মানুষকেই বদলে দিয়েছে। মানুষের আচার-আচরণ থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য,ঝগড়া-বিবাদ থেকে সুখ-শান্তি অনেক কিছুই নির্ভর করছে এই অ্যাপের উপর।  ফেসবুক অ্যাপটি ভালো-মন্দ মিলিয়ে।


টিন্ডারঃ  57 মিলিয়ন ব্যবহারকারীর টিন্ডার মূলত ব্যবহৃত হয় জুড়ি খোজার কাজে।এই অ্যাপটি প্রকাশিত হয় 2012 সালে। এই অ্যাপে সোয়াইপ করলেই জুড়ি মিলে গেল। 


গুগল ম্যাপসঃ  গুগল ম্যাপস প্রকাশিত হয় 2007 সালে। হাতে স্মার্টফোন থাকলে এখন আর কেউ হারায় না। শুধু কেবল পথ খুঁজে দেওয়া এর কাজ নয়, হাতের নাগালের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই খুঁজে বের করে দেয় এই অ্যাপটি।


স্পটিফাইঃ  286 মিলিয়ন ব্যবহারকারীর গান শোনার এ অ্যাপটি প্রকাশিত হয় 2011 সালে। বাংলাদেশের স্পটিফাই অ্যাপ টি চালানোর অনুমতি নেই। তবে সারা বিশ্বে এই অ্যাপটির জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। বিনামূল্যে গান শোনার জনপ্রিয় অ্যাপ এটি।  


Slack:  এটি একটি বার্তা আদান প্রদানের অ্যাপ। এটি 2013 সালে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে এর ব্যবহারকারী বেশি নয়। তবে পুরো একটা অফিসে চালানো যায় এই অ্যাপ দিয়ে। এই অ্যাপটি আসলে অনেকগুলো অ্যাপ এর সমাহার। এখানে দাপ্তরিক সভা থেকে শুরু করে কাজের দেখভাল,বেতন-ভাতা পরিশোধের মতো কাজও করা যায়। 


উবারঃ  উপরের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় 78 মিলিয়ন। এটি 2011 সালে প্রকাশিত হয়। পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থাই বদলে দিয়েছে উবার।এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে ঠিকই তবে যাতায়াতে উবার যুগান্তরকারী পরিবর্তন এনেছে। 


ভেনমোঃ  আর্থিক লেনদেনের এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা 52 মিলিয়ন। এটি 2012 সালে প্রকাশিত হয়। আমাদের দেশের বিকাশের মতোই এই অ্যাপটি। বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয় তবে বাংলাদেশে চলে না। শুধু লেনদেন নয়  যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়।


অ্যাংরি বার্ডসঃ  263 মিলিয়ন ব্যবহারকারীর  এই গেমটি প্রকাশিত হয় 2009 সালে। বাজারে আসার পর রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছিল এই গেমটি। ফলে প্রকাশিত হয়েছে একাধিক গেমস। এর উপর ভিত্তি করে মুক্তি পেয়েছে দুটি সিনেম। পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে অ্যাংরি বার্ডস এখনো  সমান জনপ্রিয়।




সূত্রঃসিনেট 

Post a Comment

0 Comments